অনুবাদ: সেলিম রেজা নিউটন
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁস হওয়া তারবার্তা এবং অন্যান্য দলিলপত্রের বিস্তারিত প্রকাশ করতে শুরু করেছে উইকিলিকস ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে। সৌদি আরব ভয় পাচ্ছে, কেননা এতে করে প্রকাশ পেতে শুরু করবে গোপনীয়তাপরায়ণ সৌদি রাজত্বের ভেতরকার কলকব্জা এবং বহির্বিশ্বে তার প্রভাব বিস্তারের কলাকৌশলগুলো। দুই লাখ ৩০ হাজার সৌদি নথি প্রকাশ করেছে উইকিলিকস। গত নভেম্বরে [২০১৫] প্রকাশ করেছে তারা আরো ৬০ হাজার তারবার্তা এবং ৫০ হাজার ক্ষুদে বার্তা [পেজার মেসেজ]। এসব উন্মোচন থেকে যা উদঘাটিত হয়েছে বলে অ্যাসাঞ্জ মনে করেন তার কিছু দিক নিচে পেশ করা হলো:
১। ভীতিবিভ্রমের বাতিকে আচ্ছন্ন এক অভিজাত শাসকগোষ্ঠী
“তারবার্তাগুলোতে আমরা দেখতে পাচ্ছি ক্ষুদ্র, সঙ্গহীন ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিচ্ছিন্ন এক অভিজাত শাসকগোষ্ঠীকে যাদের বিশ্বদর্শন আতঙ্ক-বিভ্রমের বাতিকে আচ্ছন্ন।
“তারবার্তাগুলো স্পষ্ট করে তুলেছে যে, এটা আসলে দুর্বল কতকগুলো প্রতিষ্ঠান নিয়ে তৈরী একটা ক্ষুদ্র অভিজাত শাসকগোষ্ঠী। এঁদের ক্ষমতা-কাঠামোটা এমন যে, এই গোষ্ঠীটিরই ভেতরকার অন্য অন্য অংশ-উপাদানের হাতে সেটা একদম ঝট করে বেদখল হয়ে যেতে পারে। আর, এঁদের রাষ্ট্রের যন্ত্রপাতিগুলো এমন যে, নেতারা তাঁদের ইচ্ছেমতো সেগুলোর ওপর প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
“সৌদি তারবার্তা হলো সৌদি আরবের একটা মন্ত্রণালয়ের [পররাষ্ট্র] অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের এবং মধ্য-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিজেদের ভেতরকার কথা-চালাচালি। এখান থেকে আপনি এঁদের অন্দরমহলের গতিবিধি সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণগুলো আলাদা করে ছেঁকে নিতে পারেন। আমি যেভাবে ছাঁকি তাতে করে পর্যবেক্ষণটা দাঁড়ায় এরকম: অন্দরমহলের হাল-হকিকতের সুসঙ্গতি বজায় রাখার জন্য আপনার দরকার বৈদেশিক কোনো একটা হুমকি। এরকম একটা বৈদেশিক হুমকি হিসেবে সৌদি আরবের জন্য সবচে স্বাভাবিক পছন্দ হলো ইরান। আর হ্যাঁ, এই অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সত্যিকারের অনেক কারণ আছে ঠিকই, কিন্তু সেগুলোকে [সৌদি আরবের] অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডে এমনভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তোলা হয় যেন নিজেদের অন্দরমহলটাকে সুসঙ্গত ও ঐক্যবদ্ধ রাখা যায়।”
২। সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করা*: প্রাক-অভ্যুত্থান পর্ব
“উচ্চ পর্যায়ের একটা সৌদি তারবার্তা আছে যা থেকে সিরিয়া সম্পর্কে তাদের কৌশল বোঝা যায়। এটার উপসংহার-অনুচ্ছেদে বলা আছে, সিরিয়ার সাথে সৌদি আরব যা করেছে তার জন্য আসাদ-সরকার কোনো দিন তাকে ক্ষমা করবে না। আসাদের রাজত্ব যেহেতু ‘নৃশংস এবং যুদ্ধবাজ’, সেই জন্য সব সময় তারা প্রতিশোধের তালে থাকবে। সুতরাং, সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সিরিয়া একটা হুমকি।
“আরেকটা তারবার্তা আছে। তাতে আছে সৌদি আরব, কাতার এবং তুরস্কের ভেতরে [২০১২ সালের] এক গোপন চুক্তির কথা। চুক্তির বিষয় [সিরীয় সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে] সেখানে হস্তক্ষেপ করা সম্পর্কিত।
“সিরিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম রোবাকের পাঠানো একটা তারবার্তা আমরা প্রকাশ করেছিলাম ১০ বছর আগে। সেটা ছিল আসাদ-সরকারকে ধ্বংস করার উপায়-পদ্ধতি-প্রস্তাবের বিস্তারিত এক রেসিপি। তার মধ্যে ছিল সিরিয়াকে ভয়ের বিভ্রমে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করার কথা যেন সে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়। যেন সে বিশ্বাস করে যে, তার নিজের সেনাশক্তিই তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করার চেষ্টা করছে। তার মধ্যে আরো ছিল সিরীয়ার সুন্নিদের মনে ইরান এবং ইরান-সমর্থিত শিয়াদেরব্যাপারে এমন একটা ভয়ের বাতিক তৈরির চেষ্টা করার কথা যেন তারা ভাবে যে, ঐ শিয়ারা সুন্নিদেরকে ধর্মান্তরিত করতে চাইছে। রেসিপিতে আরো ছিল এইসব সাম্প্রদায়িক বিভক্তিগুলো বাড়ানোর জন্য সৌদি আরব ও মিশরের সাথে [মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের] কাজ করার চেষ্টার কথা।”
৩। ধর্মকে ব্যবহার করা
“একটা তারবার্তায় আছে সৌদি আরবের সরকারের সমর্থনে তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে দিয়ে কথা বলানোর প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ। তারবার্তায় এটা এমনভাবে লেখা হয় নি যে, ‘উনি এমনটা করলে ভালো হতো’। বরং লেখা হয়েছে এভাবে: ‘তাঁকে বলো, এটা তাঁকে করতে হবে’। তারবার্তা থেকে দেখা যাচ্ছে, ধর্ম সৌদি রাষ্ট্রের একটা হাতিয়ার মাত্র। এটা পরিষ্কার যে, ওয়াহাবি ইসলাম ও সুন্নিদেরকে সৌদি আরব রাষ্ট্রীয় স্বার্থসিদ্ধির উর্বর এক ভূমি হিসেবেই দেখে।
“আঞ্চলিক অধিপতি হিসেবে সৌদি আরব যে ওয়াহাবি মতবাদকে নিজের একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তা দেখিয়ে দিয়েছে সৌদি তারবার্তা-গুলো। এই হাতিয়ারটাকে সে শুধু নিজ অঞ্চলেই ব্যবহার করে তা নয়, এটাকে সে ব্যবহার করে সারা বিশ্বজুড়ে। ওয়াহাবি মতবাদে ধর্মান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন লোকজনের সম্ভাব্য একটা উৎস হিসেবে সুন্নিদেরকে দেখে সৌদি আরব। ওয়াহাবি মতবাদকে সে সুন্নি ধারার ঘনিষ্ট বলেই বিবেচনা করে। অন্য দিকে, শিয়া সম্প্রদায়গুলো সৌদি আরবের জন্য এমন একটা জায়গা যেখানে তার করার কিছুই নাই কিন্তু ইরানের আছে।”
৪। ইরান এবং শিয়া-প্রভাব নিয়ে আতঙ্ক
“শিয়া-প্রভাবের ব্যাপারে সৌদি আরবের শাসকমহল নিদারুণ রকমের ভীত ও বাতিকগ্রস্ত। এমনসব লক্ষণ আছে যা থেকে বোঝা যায়, ইরানের ব্যাপারে তাঁরা আতঙ্কিত। কিন্তু এমন কোনো প্রমাণ নাই যা থেকে মনে হয় তাঁদের আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো কারণ আছে।
“ইরানের সাথে যুদ্ধকে তাঁরা শিয়া-ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই বলে মনে করেন। দুনিয়া জুড়ে শিয়া-জনসংখ্যা একেবারেই কম। অথচ সৌদি আরব চাচ্ছে শিয়া-ইসলামের বৃদ্ধি ঠেকাতে, আর তার প্রভাব কমাতে।”
৫। বৈদেশিক মিডিয়াকে ঘুষ দিতে হয় কীভাবে
“তারবার্তাগুলোতে দেখা যায়, সৌদি আরব ও তার স্বার্থ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনার ধারাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সৌদি দূতাবাসগুলো অন্যান্য দেশের সুন্নি-মিডিয়া অথবা আরব-মিডিয়াকে ঘুষ দেয়। এটা তারা করে থাকে সরাসরি বিনিয়োগের মাধ্যমে। যেমন লেবাননের একটা টিভি-সম্প্রচার-কেন্দ্রের মিলিয়ন ডলার দামের শেয়ার কিনে ফেলা অথবা সাংবাদিকদের সাথে সম্পর্ক পাতানো। অথবা যেমন আরবি ভাষার ম্যাগাজিনগুলোকে হাজারে হাজারে গ্রাহক-চাঁদার টাকা দিয়ে দেওয়া, যেন সেগুলোর কাভারেজকে প্রভাবিত করা যায়। বুদ্ধি হিসেবে এটা খুবই চাতুর্যপূর্ণ কেননা এতে করে বিশেষ কোনো সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজন পড়ে না কিংবা মধ্যবর্তী কোনো দালাল ধরার দরকার পড়ে না। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্রেফ শত সহস্র গ্রাহক-চাঁদার টাকা জমা দিয়ে দেয়। ধরেন অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে, গ্রাহক-চাঁদা হিসেবে পত্রিকাগুলো মোট যা আয় করে তার অর্ধেকটা পর্যন্ত দিয়ে দেয় তারা। পত্রিকাগুলো যা লেখালিখি করে সেটা যদি তাদের পছন্দ হয় তাহলে আরো বেশি করে গ্রাহকসত্তা কিনে নেয় তারা। এবং যদি পছন্দ না হয় তাহলে তারা একটু নাক সিটকায় মাত্র, আর পত্রিকাগুলোর জন্য সেটাই কাজ করে উপযুক্ত ইঙ্গিত হিসেবে।”
৬। সৌদি-ইসরায়েল দোস্তালি ও পশ্চিমা শক্তি
“মধ্যপ্রাচ্যে অন্তত ১০ বছর ধরে একটা সৌদি-ইসরায়েল যোগসূত্র কাজ করে আসছে। আমাদের প্রকাশিত মার্কিন তারবার্তাগুলোতে — এবং কিছুটা কম মাত্রায় সৌদি তারবার্তাগুলোতে — সেটা দেখা যায়। সিরিয়াকে সৌদি আরব ইরানি প্রভাবের কারসাজি হিসেবে দেখে। ইসরায়েল গোলান মালভূমি দখল করে রেখেছে যা আসলে সিরিয়ার অংশ।
“কিন্তু সৌদি-ইসরায়েল দোস্ত-যুগলের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বদলে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্ট যুদ্ধকৌশল-বিশারদেরা — যারমধ্যে সিআইএ-প্রধানও আছেন — ভাবছেন, সৌদি-ইসরায়েল দহরম-মহরম বৃহত্তর মার্কিন যুদ্ধকৌশলগত স্বার্থের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ২০০৮-০৯ সালে আমরা সিআইএ-পরিচালক জন ব্রেনানের ইমেইল-ভাণ্ডার প্রকাশ করেছিলাম। তিনি তখন ছিলেন ওবামার নিরাপত্তা-উপদেষ্টা। ব্রেনান বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইরানের সাথেও সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া। যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত বিরূপ হওয়ার কারণে এই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব কমেছে। আর, ইরানের কাজকর্ম-চলাফেরার রাস্তা একদম আটকে দেওয়ার উপক্রম করেছে সৌদি-ইসরায়েল আঁতাত।
“সৌদি আরবের মনোবাসনা পূরণের ব্যাপারে আগের মতো অতটা যত্নবান আর নাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে সৌদি আরবের ভীতিবিভ্রমের বাতিক আরো বেড়েছে। তার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন এখন আর সে আগের মতো অনুভব করে না। আর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি থেকে প্রয়োজনীয় ইশারা বুঝে নিচ্ছে ইউরোপ।
“আমি অবশ্য [সৌদি আরবের দিক থেকে আমেরিকার এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়াটাকে] বেশি বড় করে দেখতে চাই না। কেননা, এখনো সৌদি আরবের টাকাপয়সার প্রধান গ্রাহক মার্কিন ও বৃটিশ অস্ত্র-শিল্প আর ব্যাংক, এবং বৃটিশ জমি-আবাসন-বাজার।”
৭। জাতিসংঘে ভোট নিয়ে চতুর লেনদেন
“জাতিসংঘে ভোট পাওয়া নিয়ে লেনদেনের ব্যাপারে মজার কিছু কথা-চলাচালি আছে সৌদি তারবার্তাগুলোতে। এতে করে প্রকাশ পেয়ে গেছে যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার-পরিষদে সৌদি আরবকে ঢোকানোর জন্য ভোট-লেনদেন করেছে যুক্তরাজ্য। মানবাধিকার-পরিষদে কার থাকা উচিত না উচিত যুক্তরাজ্যের তরফে সেটা দেখাশোনা করে এফসিও [বৈদেশিক ও কমনওয়েলথ অফিস]। সৌদি তারবার্তাগুলোতে এটা আছে যে, মানবাধিকার-পরিষদে সৌদি আরব যেন নির্বাচিত হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এফসিও-কে তারা দিয়েছে এক লক্ষ ডলার ‘প্রচারাভিযানের জন্য এফসিও-র খরচাপাতি’ বাবদে। এইসব ঘুষ-দেওয়াদেওয়ি আর ভোট-বিনিময়ের কারবারে সৌদি আরব শেষমেষ যা পেয়েছে তা হলো ১০০টা দেশের সমর্থন। ‘আপনাদের প্রোগ্রামে সহায়তা প্রদান’ করার ছদ্মবেশে কীভাবে জাতিসংঘকে ম্যানেজ করে সৌদি আরব, কীভাবে টাকাটা কর্মকর্তাদের হাতে যায়, তা নিয়ে আছে বেশ কয়েকটা তারবার্তা।”
* * *
পাঁচ বছর ধরে বৃটেনে আটক আছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ইকুয়েডর-দূতাবাসের আশ্রয়স্থল ছেড়ে বেরুনোর উপায় নাই তাঁর। আছে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাবাসনের ঝুঁকি। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাঁর বিচার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় হাসপাতাল-সেবাও পান না তিনি। “এটা খুব কঠিন”— বললেন তিনি। “তবে যুক্তরাষ্ট্রের চরম-সর্বোচ্চ মাত্রার কারাগারও খুব কঠিন এবং সেখানে আমি কাজ করার সুযোগ পাব না।” তিনি আরো বললেন, “সৌদি আরব একটা উচ্চ পর্যায়ের অপরাধ-তদন্ত শুরু করেছে। যেকেউ এসব তারবার্তা বিতরণ করলে তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। এজন্য আমরা কৌতুক করে বলি, সৌদি আরবে প্রত্যাবাসন মেনে নেওয়াই বরং আমাদের জন্য ভালো কেননা সেখানে এটা ২০ বছরের ব্যাপার, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিচ্ছে অর্ধ-শত বছরেরও বেশি কারাদণ্ডের ...”।
বেআইনি ও খেয়ালমাফিক উপায়ে আটকের অভিযোগে ২০১৪ সালে অ্যাসাঞ্জ এবং তাঁর আইনজীবী আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটা মামলা দায়ের করেছিলেন জাতিসংঘে। এ বছরের [২০১৫] ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের ‘খেয়ালমাফিক আটক বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ’ এই মামলায় রুলিং দিয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে।
অনুবাদকের টীকা
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের এই সাক্ষাৎকারটি ছাপা হয়েছিল যুক্তরাজ্যের নিউ ইন্টারন্যাশনালিস্ট পত্রিকায় ২০১৬ সালের মার্চ মাসে। বৃটেনের অক্সফোর্ড শহর থেকে প্রকাশিত এই পত্রিকা একটা স্বাধীন, অলাভজনক, একাধিক পুরস্কারবিজয়ী মিডিয়া-সমবায়। গত ৪০ বছর ধরে এ পত্রিকাটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে চলেছে। এ ছাড়া তাঁরা নিজেদের ম্যাগাজিন ও বইপত্রও প্রকাশ করেন। যেসব পুরস্কার নিউ ইন্টারন্যাশনালিস্ট পেয়েছে তার মধ্যে আছে ‘সেরা আন্তার্জাতিক কাভারেজ’-এর জন্য ‘ইউটনি রিডার্স ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রেস অ্যাওয়ার্ড’, ‘সেরা আধেয়, ভোক্তা ম্যাগাজিন’-এর জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। এ ছাড়া ‘বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নে অসাধারণ অবদান’ রাখার জন্য জাতিসংঘ তাঁদেরকে পুরষ্কৃত করেছে।
— স.র.ন.
রাজশাহী: ১৩ই আগস্ট ২০১৭
আদি রচনার হদিস